মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের সরকারি কলেজ থেকে ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির শোভাবর্ধনকারী গাছ। গাছগুলো রক্ষায় ব্যবহার করা হয়েছে নিল রঙের নেট। যাতে করে গাছগুলো বেড়ে উঠতে কোনো বাধাপ্রাপ্ত না হয়। পিচঢালা পথের পাশে সবুজ গাছ ও নীল নেটের সমন্বয়ে এক মনোরম পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু সড়কেই নয়, বিভিন্ন থানা, পুলিশ ক্যাম্প, মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ব্রিজ ও সদর থানা সংলগ্ন ব্রিজের নীচে ভৈরব নদের তীরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে পরিবেশবান্ধব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মেহেরপুরের পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান। গাছ লাগিয়েই তিনি দায়িত্ব শেষ করেননি, সেগুলোকে পরিপূর্ণভাবে পরিচর্যা করে চলেছেন অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা।
চলতি বছরে জেলা জুড়ে বিভিন্ন প্রজাতির পাঁচ হাজার গাছ লাগিয়ে সেগুলোর মাধ্যমে সবুজায়ন মেহেরপুর গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন তিনি। একই সঙ্গে ভৈরব নদে খাঁচা পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে তিনি এলাকায় নজির সৃষ্টি করেছেন।
পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান বলেন, ছোটকাল থেকে আমি গাছ, মাছসহ কৃষি জাতীয় কাজের প্রতি দুর্বল। চাকরির কারণে কৃষি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারিনি। কিন্তু আমার মন পড়ে থাকে কৃষি কাজে।
তাছাড়া পরিবেশে ভারসাম্য রাখতে গাছের কোনো বিকল্প নাই। তিনি বলেন, রাস্তার দুপাশে যখন বিভিন্ন শোভাবর্ধনকারী, উপকারী গাছগুলো বেড়ে উঠবে পুরো সবুজ পরিবেশ তৈরি হবে। মনোরম দৃশ্য চোখে ভাসবে। এলাকার মানুষ মনভরে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারবে এবং মানুষের মধ্যে গাছ লাগানোর উত্সাহ সৃষ্টি।
মোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ সুপার উদ্যোগ নিয়ে মোনাখালী ব্রিজের নিচে নানা প্রজাতির ফুলের গাছ লাগিয়ে সুন্দর সবুজায়ন পরিবেশ তৈরি করেছেন। যা ইতিপূর্বে ছিল না। তাঁর সহযোগিতায় আমরা সেখানে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।